প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১,২ pdf download/Paradoxical Sajid 1,2 pdf download

paradoxical sajid pdf download

Loading...




বইয়ের নামঃ প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ ও প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২

লেখকঃ আরিফ আজাদ

 

লেখক সম্পর্কেঃ

আরিফ আজাদ বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান ও জনপ্রিয় লেখক। তিনি সাধারণত বই লেখেন ইসলামিক বই। তার জন্ম চট্টগ্রামে। আরিফ আজাদ একজন প্রচার বিমুখ লেখক। তিনি তার ফেসবুকে তার ছবি বা কোনো ব্যাক্তিগত তথ্য প্রকাশ করেন না। যতদুর জানা যায় তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া লেখা করেছেন।

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১,২ সম্পর্কে আমার কিছু কথাঃ

#প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ pdf download

আমি প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ বইটা পড়েছিলাম ২০২০ সালে। বইটা পড়েই আমি বেশ কিছু নতুন তথ্য পেয়েছি যা আমি আগে জানতাম না। বইটাতে এমন এমন ইনফরমেশন আছে যা কোনো অবিশ্বাসীদের নাস্তানাবুদ করতে বাধ্য। আপনি বইটা পড়া শুরু করলে আর উঠতে চাইবেন না এইটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি।

যেমন একটা উদাহরণ দেই। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইটাতে একটা চাপ্টার আছে ” স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করেছেন?” এই প্রশ্নটা আমাদের সবার মাঝেই একটা কমন প্রশ্ন। লেখন আরিফ আজাদ এই প্রশ্নের সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা দিছেন একটি খাতার উদাহরণ দিয়ে।

আবার এই বইয়ের অনেক অংশে কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা দেওয়া আছে। এরকম একটি উদাহরণ দিচ্ছি।

লেখকের বইতে একটা চাপ্টার আছে ” কোনো লোকের শরীরে কি দুইটি হৃদপিন্ড থাকতে পারে কি ?” লেখক এই প্রশ্নের উত্তর দিছেন কুর আনের আয়াতের দ্বারা। তিনি দেখিয়েছেন যে একজন মহিলার শরীরে দুইটি হৃদপিন্ড থাকতে পারে। ব্যাখ্যাটা না-ই দিলাম। বই পড়ার সময় পড়ে নিবেন।

#প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ pdf download

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২ বই আমাদের অজানা সমুদ্র বিজ্ঞান নিয়েও লেখা আছে। যেমনঃ

সাজিদের কথা শুনে ফিক করে হেসে ফেললো রাজিব। সম্ভবত চেহারার উপমাটা শুনে সে খুব মজা পেয়েছে। হেসে ফেললাম আমিও। হাসাহাসির পর্ব শেষে সাজিদ আবারও সমুদ্র বিলাসে ডুব দিলো। সাঁ সাঁ করে বাতাস বইছে সাগরের বুকে। জাহাজের দোলুনি খেতে খেতে আমরা ছুটে চলছি। অন্ধকার রাত। এই তল্লাটে কেবল আকাশ আর সাগরের মিতালী।
অনেকক্ষণ পরে রাজিব আবারও প্রশ্ন করে বসলো সাজিদকে। বললো, ‘তোমার নাকি সমুদ্র খুব পছন্দের?’
-‘হুম’।
-‘কেনো?’
-‘সমুদ্রে একটা বিস্ময় আছে’।
-‘কিরকম বিস্ময়?’
-‘সমুদ্র একইসাথে সুন্দর এবং ভয়ঙ্কর’।
-‘যেমন?’
-‘সমুদ্রের এই যে বিশালতা, উপচে পড়া ঢেউ, তার বুকে সূর্যের হারিয়ে যাওয়া, নীল জলরাশির উন্মত্ততা, এগুলো হলো সমুদ্রের অপার রহস্য আর সৌন্দর্য। আবার, এই সমুদ্র যখন উন্মাতাল হয়ে হয়ে উঠে, সে হয়ে উঠে বিধ্বংসী আর ভয়ঙ্কর। যে জলরাশির মাধ্যমে জীবন সঞ্চারিত হয়, সেই জলরাশিই হয়ে উঠে জীবন হরণের কারণ। খুব অদ্ভুত না?’
সাজিদের কথা শুনে রাজিব বেশ অবাক হলো বলে মনে হলো। মাথা নেড়ে সাঁয় দিয়ে বললো, ‘আসলেই অদ্ভুত!’
সমুদ্র নিয়ে যে সাজিদ এতো দার্শনিকসুলভ চিন্তাভাবনা করতে পারে তা আমি জানতাম না। অবশ্য, ওর যতো দার্শনিকতা সব পেটের মধ্যেই জমিয়ে রাখে। প্রসঙ্গ এসে পড়লেই সেগুলো বের হয়ে আসে।

এছাড়া আরো এই রকম অনেক তথ্য আছে যা আপনি পড়লে আপনার বিশ্বাস দৃঢ় হবে। শূভ কামনা রইল।

 

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ pdf download/ paradoxical sajid 1 pdf download

#paradoxical sajid 1 pdf free download

বইয়ের নামঃ প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১

লেখকঃ আরিফ আজাদ

প্রকাশকালঃ ২০১৭ সাল

প্রকাশকঃ গার্ডিয়ান প্রকাশনি

 

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১,২ রিভিউ (১)

 

২০১২ সালের শুরুর দিকের কথা।
এই প্রথম ইন্টারনেট সাপোর্টেড নিজস্ব একটা হ্যান্ডসেট হয়েছে, আগে আম্মুর মোবাইল থেকে অনলাইনে মাঝেমধ্যে ঢুঁ মারা হতো।
কওমি মাদরাসায় পড়ি, মোবাইল ফোন চালানোর সময় তেমন হয় না বললেই চলে, রাতে শোয়ার বিছানায় গা এলিয়ে দিয়ে ফোনটা হাতে নিয়েছি, নতুন নতুন ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ! প্রবল কৌতুহল নিয়ে এটা ওটা লিখে গুগলসার্চ করি, ফলাফল দেখে বেশ হবাকই লাগে, প্রায় সব বিষয় নিয়েই কিছুনা কিছু পাওয়া যাচ্ছে!
একবার হঠাৎ একটা যায়গায় চোখ আটকে গেলো, জাস্ট ‘ইসলামী’ লিখে সার্চ দিয়েছিলাম, প্রথম দিকেই যে অশ্লীল একটা শিরোনাম আসলো তা মুখে আনার মতো নয়।
সাইটটিতে ঢুকে আঁৎকে উঠলাম!
ইসলাম বিদ্বেষীরা ইসলাম নিয়ে নানারকম বিষোদগাড় করে শুনেছি, কিন্তু এর রূপটা যে এতো ভয়াবহ তা কল্পনাতেও ছিলো না। মহান আল্লাহ তায়ালা এবং প্রিয় নবী সা. কে নিয়ে এমন জঘন্য অভিযোগ আর কলজে ছেঁড়া অশ্লীল গালাগাল সেখানে অবলীলায় করা হচ্ছে যা দেখে পুরো শরীরে কাঁপন ধরে গেলো।
ফোনটা রেখে অনেকক্ষণ শীতার্ত মানুষের মত গটগট করে কাঁপছিলাম। এরপর আরও কয়েকবার কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের লেখা চোখে পড়েছে, সেই লেখাগুলোর কমেন্টবক্সে তেমন জোরালো উত্তরের বেশ অভাব দেখতে পেলাম, অধিকাংশ কমেন্ট কেবলই ক্রোধ বশত গালাগাল আর আবেগের ছড়াছড়ি। এরকম জঘন্য কাজগুলো বন্ধের জন্য কোনো পদক্ষেপ নেয়া যায় কিনা চিন্তা করছিলাম। পাশাপাশি এও ভাবছিলাম, এই কুকর্মগুলো বন্ধ করে দেয়াই সব কাজ নয়, নাস্তিকদের অসার যুক্তি আর মিথ্যা অভিযোগ এবং স্ট্যান্ডবাজি নিয়ে বইপত্রও থাকা চাই। শেষমেশ একটা বই লিখবো বলে চিন্তা করলাম। কিন্তু জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা এখানে বাঁধ সাধলো। আমি তখন ১৬-১৭ বৎসর বয়সের কিশোর, ধর্মীয় জ্ঞানে যেমন অপ্রতুলতা ছিলো তেমনই ছিলো বিজ্ঞানীদের মতবাদ আর উক্তি সম্পর্কে অজ্ঞতা। তবে স্বপ্নটা বুকে পুষেই রাখলাম, চিন্তা করলাম কেবল ইসলামী দলিলাদি দিয়ে তাদের খণ্ডানোর চিন্তাটা হবে নিতান্তই একটা ভুল চিন্তা। সুতরাং ধর্মের জ্ঞানে অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আমাকে বিজ্ঞান নিয়েও ঘাটাঘাটি করতে হবে। অলসতা আর সময়ের অভাবে হয়ে উঠেনি। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম একেবারে ছোট্ট করে হলেও একটি পুস্তিকা লিখবো, ভারতের প্রখ্যাত দায়ী কালিম সিদ্দিকীর ক্ষুদ্র পুস্তিকা ‘আপকি আপানাত’ এর দ্বারা যে অসামান্য খেদমত আল্লাহ তায়ালা নিয়েছেন তা সত্যিই অবাক করার মতো একটা ব্যাপার। চাইলে আল্লাহ তায়ালা আমার মেহনতটাকেও কবুল করে নিতে পারেন। চিন্তা করলাম ক্ষুদ্র পুস্তিকাটাতে মূলত সম্বোধিত হবে সংশয়ে ভোগা যুবসমাজ। তাঁদেরকে সুন্দরভাবে দেখিয়ে দেবো নাস্তিক্যবাদ প্রমাণিত কিছু নয়, এর বিপরীতে আস্তিকতার পক্ষে রয়েছে হাজারো শক্ত যুক্তি, স্রষ্টায় বিশ্বাসের রয়েছে মজবুত ভিত। যে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে তারা ইসলামকে হাস্যরসের উপকরণ হিসেবে উপস্থাপনের অপপ্রয়াস চালায় সেই বিজ্ঞানের থিউরিগুলোর পুনঃপুন সিদ্ধান্ত বদল জনিত অসহায়ত্বও সেখানে তুলে ধরবো সল্প কথায়। কিন্তু একসঙ্গে অনেক কাজ করতে গিয়ে কিছুই যেন করা হয়না!
দিন গড়িয়ে যাচ্ছিলো, নাস্তিকদের আস্ফালনও বেড়ে চলছিলো পাল্লাদিয়ে। মাঝে আরও অনেক কিছুই ঘটে গেছে, আমরা সকলেই সে ইতিহাস জানি। অনেকদিন পর একভাইয়ের স্ট্যাটাসে জানতে পেলাম, ইসলামী ঘরাণার একটি বই বেশ আলোড়ন তুলেছে, বই মেলায় আনতে না আনতেই ফুরিয়ে গেছে। পাঠক-গ্রাহকের লম্বা সিরিয়াল! প্রথমে খুশি হলেও বইটা পড়বো বলে তেমন একটা আগ্রহ পাইনি। কিন্তু একটা পর্যায়ে সর্বমহলে বইটি এতোটাই আলোচিত হতে থাকলো যে সেটা হাতে তুলে না নিয়ে আর থাকতে পারলাম না। বইটি পড়তে গিয়ে বেশ শিহরিতই হলাম! গল্পের আকর্ষণীয় ছকে কথিত মুক্তমনাদের অসার যুক্তিগুলোকে কতটা অবলীলায় ভেঙে চলেছেন লেখক ভাইটি।
যদিও নাস্তিকদের জবাবে এর কিছু থিম আগেও প্রচলিত ছিলো তথাপি এরকম সুখপাঠ্য গল্পের ছকে উপস্থাপনা ইতোপূর্বে আর হয়েছে বলে জানা নেই। বিশেষত ‘একটি ডিএনএর জবানবন্দী’ এবং ‘ভেল্কিবাজির সাতকাহন’ গল্পদুটো খুব বেশী আমাকে টেনেছে।



আমাদের এই মুসলিম সমাজেও হাজারো মতামত আর দল-উপদলের ছড়াছড়ি, কেউ কারও সাফল্যে নন্দিত হবার অভ্যাস নেই বললেই চলে, তথাপি আরিফ আজাদ ভাইয়ের প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ লেখককে আপন করে নিয়েছে সবার কাছে। কওমি, জেনারেল, মাযহাবি,সালাফি নির্বিশেষে সবাই বইটি নিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশের ইতিহাসে ইসলামিক মাইন্ডের কোনো বই এতোটা প্রভাব বিস্তার করেছে বলে আমার জানা নাই।
এককথায় বইটি কাঁপন ধরাতে সক্ষম হয়েছে পুরো বাংলা নাস্তিক কমিউনিটিতে। অনেকের অবস্থাই রাগে ক্ষোভে ওয়ালে ঠুকে মাথা ফাটিয়ে ফেলার জোগাড়!
বইটি পড়ে অনেক দূর্বলমনা ইমানদাররা ফিরে পেয়েছে পূর্ণ ইয়াকীন। সংশয় আর অবিশ্বাসের চোরাগলিতে ঘুরঘুর করতে থাকা পথভ্রষ্ট বহু যুবককে চিনিয়েছে ইসলামের সমুজ্জ্বল রাজপথ। এরপর সম ইস্যুতে আরও কিছু বই প্রকাশ পেয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ! এতেও পাঠকদের আগ্রহ দেখা গিয়েছে চেখে পড়ার মতো। মাশাআল্লাহ, এক্ষেত্রে আরিফ আজাদ ভাই অন্যদের বই প্রচারেও ইখলাসের স্বাক্ষর রেখেছেন। মেহনতগুলো অব্যাহত থাকুক….
.
লেখকের প্রতি হৃদয় থেকে দুআ ও ভালোবাসা থাকলো। রাব্বুল আলামিন তাঁকে দীনের খেদমতে আহলে ইলমদেরকে সঙ্গে নিয়ে আরও ব্যাপকভাবে কাজ করার তাওফিক দিক!
সর্বোপরি ফিতনা ও বিশৃঙ্খল অবস্থা থেকে নিরাপদ রাখুক….
আমিন!
– আবু মুহাম্মাদ জুনাইদ
অধ্যায়নরত: দারুল ইফতা
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১,২ রিভিউ(২)

#paradoxical sajid 2 pdf free download

ঘুটঘুটে অন্ধকার। নীরব। নিস্তব্ধ।
হঠাৎ কোথেকে যেন উদয় হলো আলোর ঝরনাধারা। সেই আলোয় পরিশুদ্ধ হচ্ছে শহর-বন্দর-গ্রাম। ভেসে যাচ্ছে নর্দমা আর নোংরা আবিল। কিন্তু ব্যাপারটা কারও কারও সহ্য হলো না। যে-অন্ধকারে তারা ছিল, সবাইকেই তারা ধরে রাখতে চাইল সেই অন্ধকারে। লেজকাটা শেয়ালের মতো সবাইকে যার যার লেজ কেটে ফেলার “সু”পরামর্শ দিল। বিশাল এক কালো থাবায় ছেদ পড়ল আলোর গতিধারায়। ধীরে ধীরে আবার বাড়তে লাগল নিকষ অন্ধকার।
এমনই এক শঙ্কুল সময়ে এগিয়ে এলেন একজন। আজাদ করার ব্রত নিয়ে নামলেন সাদা পাতার কালো হরফে। সরাতে লাগলেন নতুন করে গজিয়ে ওঠা জঞ্জাল; এবং কালো থাবার অশনি।
সাজিদ। নতশির। একসময় নত হতো কথিত বিজ্ঞানমনস্কতার নামে ভ্রান্ত বিশ্বাসের পদতলে। সত্যের সন্ধান পেয়ে আজ নত হয় মহান স্রষ্টার সমানে। শুধু নত হয়েই ক্ষান্ত হয়নি; যে-মশালের সন্ধান পেয়েছে, সেটা ছড়িয়ে দিচ্ছে আপনজনের কাছে: কখনো মুসলিম-অমুসলিমদের ভ্রান্ত ও ঊনধারণার মুণ্ডুপাত করে, কখনো মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মুসলিমদের সংশয় নিরসন করে।
ইসলাম নিয়ে নাস্তিক আর সংশয়বাদীদের মৌলিক প্রশ্ন হাতে গোনা। বেশিরভাগই ইসলামের শত্রু আর বিদ্বেষীদের থেকে ধার করা। এগুলো যেমন ছিল ১৪ শ বছর আগে, তেমনি জিইয়ে আছে আজও। এসব নিয়ে কাজ হয়েছে প্রচুর—দেশে। বিদেশে। আরিফ আজাদের স্বকীয়তা এখানেই যে, তিনি এগুলো তুলে এনেছেন গল্পের ধাঁচে। আকর্ষণীয় ঢঙে। সহজ ও সাবলীল ভাষায়। প্রাসঙ্গিক যুক্তি আর প্রতিতুলনার সন্নিবেশে।
এখানে আছে মুক্তিযুদ্ধ, বিজ্ঞান, কৌতুক, যুক্তি, কুর’আন, গবেষণা আর অনেকখানি ইসলাম।



পড়তে পড়তে কখনো টেনশন জাগবে। সাজিদের নীরবতায় জ্বলুনি হবে। এরপর সে যখন বলা শুরু করবে তখন হা হয়ে বসে থাকতে হবে। কখনো কিছু কথা মাথার উপর দিয়ে যাবে। কিছু অন্তর ভেদ করবে। সত্যকে টেনে তুলবে। ভেলকিবাজি দেখিয়ে দেবে। মুখোশ, ডবালস্ট্যান্ড উন্মোচন করবে। কিছু জায়গা পড়তে পড়তে ঠোঁটের কোণে ফুটে উঠবে এক চিলতে হাসি। আল্লাহ চান তো, কখন যে সরে যাবে কালো থাবার গ্রাস খেয়ালই থাকবে না।
এ ধরনের বইয়ের আরেকটি দিক হচ্ছে, কারও কারও জন্য দুটো প্রশ্নের উত্তর যথেষ্ট, কারও জন্য দশটি, কারও জন্য বা দু শটিতেও হবে না। তারপরও বাঙালি “মুক্তমনা” চর্চাকারীরা সাধারণত যেসব অজুহাত তুলে ধর্মকারী করে, সেগুলোর গোছানো উত্তর পাওয়া যাবে এখানে।
ব্যক্তিগতভাবে আমি নিজে একসময় সংশয়বাদী ছিলাম বলে, বইটার আবেদন ও প্রয়োজনীয়তা আরও বেশি লেগেছে আমার কাছে। বইটার মূল উদ্দেশ্য ভ্রান্তি ধরিয়ে দেওয়া হলেও, আমি চাই না বইটার জবাবে কোনো নাস্তিকের দাঁত ভেঙে যাক। আমি চাই না বইটা পড়ে কোনো সংশয়ী অপদস্থ হোক। আমি চাই তারা হতবাক হয়ে যাক। বাকশূন্য হয়ে যাক। তাদের সামনে উদ্ভাসিত হোক সত্য। যে-কালো থাবা আড়াল করে রেখেছিল আলোরচ্ছটাকে, আমি চাই সেই থাবা অসহায় হয়ে পড়ুক আলোর ঝরনাধারার কাছে।
বইটা হোক উঠতি, পাতি, উদীয়মান কিংবা ওয়ানাবি নাস্তিক, সংশয়বাদী আর ইসলামবিদ্বেষীর বটিকা। হয়ে উঠুক সত্যের অনুসারীদের পালে নতুন তূণ। প্রত্যেক মুসলিম হোক একেকজন #সাজিদ, #সাজিদা।
সত্যের অবগাহনে সিক্ত হয়ে সবাই উড়ে বেরাক জান্নাতের বাস্তব ভুবনে, এই আশায়…
রিভিউ লিখেছেন: মাসুদ শরীফ

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১,২ রিভিউ(৩)

বই রিভিউ
বইয়ের নাম: প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ
লেখক: আরিফ আজাদ
রিভিউয়ারঃ নাইম হোসেন
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ – সবচেয়ে বেশি আলোচিত বইয়ের একটি সমাজে বিশ্বাসীদের আর অবিশ্বাসীদের মধ্যে কথার দ্বন্দ লেগে আছে বহু বহু বছর থেকে। কেউ যখন বিশ্বাস করে যে ধর্ম মানব রচিত, কেউ তখন বিশ্বাস করে ধর্ম স্রষ্টা প্রদত্ত। বিশ্বাসীদের আটকে দেবার মত কিছু প্রশ্ন অবিশ্বাসীরা সব সময় পকেটে নিয়ে ঘুরে। যখন যেখানে সুযোগ মিলে, বিশ্বাসীদের ঘায়েল করবার জন্য ঔ প্রশ্ন গুলি ছুড়ে দেওয়া হয়। তেমনি মারাত্মক কিছু প্রশ্নের উওর দেওয়া হয়েছে প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বইতে।
বইটিতে –
“তাকদির বনাম স্বাধীন ইচ্ছা”
“স্রষ্টা কেন মন্দ কাজের দায় নেন না”
“স্রষ্টাকে সৃষ্টি করলো কে “
“রিলেটিভির গল্প”
“স্রষ্টা যখন এতই দয়ালু তো জাহান্নাম কেন”
“DNA এর জবানবন্দী ” – সহ বিভিন্ন বিষয় কথা বলা হয়েছে।
বইটি পড়ার পর নতুন জিনিস সামনে এসেছে। সব চেয়ে মজার জিনিস হলো বিজ্ঞানের দোহাই বা যুক্তি দিয়ে সব সময় ধর্ম তথা কুরআনের বিভিন্ন ভুল ধরবার চেষ্টা করা হয়, সেই বিজ্ঞান যে ক্ষণেক্ষণে পরিবর্তন হয়, থিউরি গুলি ভুল প্রমানিত হয়,ধারনা পাল্টে যায় সেটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানো হয়েছে। বইটিতে অনেক টেকনিক্যাল অনেক কিছু বলা হয়েছে কিন্তু সেগুলি সহজ ও সাবলীল ভাষায় তুলে ধরা হয়েছে যাতে সবই বুজতে সুবিধা হয়।



আমার কেন যেন মনে হয় বাংলাদেশের প্রায় অবিশ্বাসীরাই অাসলে অবিশ্বাসী নয়, তারা আসলে ইসলাম বিরোধী। হয়তো বিশ্বের বিভিন্ন জায়গাই বিভিন্ন রকম, তবে বাংলাদেশে এমনটা বলে আমার মনে হয়।
তবে বইটি পড়ে যা বলা যায় – যার যার বুঝ,তার তার তরমুজ।
বই পড়ার অনিহা সবারই আছে তবে আমার বইটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। যারা পড়তে আমার মত এখন বাকি আছি “বোয়ালী মুক্তিযোদ্ধা পাবলিক লাইব্রেরী “হতে বইটি পড়ে নেয়। আশা করি সময় ব্রিথা যাবে না।

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১,২ রিভিউ(৪)

 

বই : ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ‘
লেখক : আরিফ আজাদ
রিভিউয়ারঃ মোহাম্মদ হাসিব
সভ্যতার শুরু থেকেই সত্য ও মিথ্যার লড়াই ৷ আধুনিক সভ্যতার এই সময়ে দাঁড়িয়েও সেই ধারা অব্যাহত আছে ৷ সোশ্যাল মিডিয়ার ক্রমবর্ধমান পরিসরকে ব্যাবহার করে ইসলাম বিদ্বেষী মহল সুকৌশলে তরুণ প্রজন্মের চিন্তার রাজ্যে সন্দেহের বীজ বপন করছে ৷ সন্দেহ থেকে সংশয়,সংশয় থেকে অবিশ্বাস ৷ জাহেলিয়াতের চ্যালেঞ্জ যেখানে, সেখানেই বিশ্বাসী প্রাণের যৌক্তিক লড়াই ৷”
বইটি কাদের জন্য
১ ৷ মডারেট মুসলিম অর্থাৎ আধুনিক মুসলিম কারণ এরা আদি ও আসল ইসলামকে সেকেলে মনে কর ৷
২ ৷ ইসলামবিদ্বেষী এবং অবিশ্বাসী ৷
৩ ৷ ইসলামের নানবিধ বিষয় নিয়ে যারা দ্বিধাগ্রস্ত, নানান ধরনের প্রশ্নের বাকেঁ যারা হারাতে বসেছেন নিজের ইমান ৷ তাদের জন্য অব্যশই বইটি পড়া আব্যশক, যা তাদের ইমান মজবুত এবং তা আরো বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে ৷
রিভিউ ও বিষয়বস্তু
এ প্রজন্মের টকবকে তরুণেরা যখন ব্যাস্ত সোশ্যাল মিডিয়া, মধ্যরাতের বাইক রেইস,হেয়ার স্টাইল, হিমু হওয়ার প্রয়াস যা তাদের নিজেদের তৈরি করা এক ঠুংকো মিথ্যের পৃথিবী ৷ আর সেই পৃথিবীতে অবিশ্বাসীদের আপাত চমকপ্রদ প্রশ্ন ও তাদের কিছু খোড়া যুক্তি যা বিশ্বাসের সুশৃঙ্খল চিন্তার দুনিয়ায় অযাচিত হাজারো প্রশ্নের বুলি যার দরুণ দিকভ্রান্ত হচ্ছে হাজারো তরুণ-তরুণী ৷ আর ঠিক তখনই আরিফ আজাদের ‘সাজিদ সিরিজ ’ সংশয়বাদীদের সেই সকল প্রশ্নের উত্তর যা খুব সহজ ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছে ৷
যেখানে প্রথমে সাজিদ অবিশ্বাসী ,সংশয়বাদী দলের অন্তভুক্ত থাকলেও পরবর্তীতে বন্ধু আরিফের সান্ধিধ্যে গায়ে লাগানো অবিশ্বাসীদের তকমা মুছে ফেলে হয়ে ওঠে বিশ্বাসী অর্থাৎ নাস্তিক থেকে আস্তিক ৷ তারপর সাজিদের মধ্যে দিয়ে লেখক প্রতিটা বিষয়ের অবতারণা, যুক্তিতর্ক এতটাই সাবলীল ও সুখপাঠ্য করে তুলেন যা সাহিত্যের প্রচলিত গাম্ভীর্যতা পরিহার করে গল্পোচ্ছলে উড়িয়ে দিয়েছেন একের পর এক মিথ্যের ফানুস ৷
নাস্তিক তথা সংশয়বাদীদের করা বিভিন্ন সময়ের প্রশ্নে লেখক সাজিদের আশপাশের চরিত্রগুলো দিয়ে মূল আবহ তৈরি করে সাজিদকে সামনে এনে তথ্যপূর্ণ এবং লজিক্যাললি উত্তর দিয়ে লেখক এগিয়ে গেছেন আর শেষ করেছেন ভেল্কিবাজির সাতকাহন দিয়ে ৷
‘বইটি কেন পড়বেন ?



যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলার পথে নানান মানুষের, নানান মতের সাথে পরিচিত হচ্ছি প্রতিনিয়ত ৷ আর মুখোমুখি হচ্ছি নানান প্রশ্নের, বিচার-বিশ্লেষণ,দ্বন্দ-প্রতিদ্বন্দিতার মোড়ে এসে পাল্টে যাচ্ছে কারো বিশ্বাস ৷ আর সেই পাল্টে যাওয়া বিশ্বাস ফিরে পেতে আমরা সেইসব প্রশ্নের উত্তর প্রতিনিয়ত খুজেঁ ফিরি বিভিন্ন বইয়ে ৷ তখন সেই প্রশ্নের উত্তর খুজেঁ পেলেও জন্ম হয় আরেক নতুন প্রশ্নের নতুবা প্রানবন্ত যুক্তি-তথ্যপূর্ণতার ঘাটতি রয়ে যায় পাঠক মানসে ৷ ঠিক সেই সময়ই লজিক্যাল উপস্থাপন, তথ্যপূর্ণ ও বিঞ্জানভিত্তিক যুক্তি দিয়ে বিষয়গুলোকে প্রাণবন্ত করে লেখক উপস্থাপন করছেন সেই সকল সংশয়বাদী প্রশ্নের উত্তর যার রূপ দিয়েছেন গল্পের আকারে ৷ যা তরুণ প্রজন্মের মনোজগতে এক তুমুল আলোড়ন তুলবে ৷
এছাড়া অনেকে ছোট করে অনেক রিভিউ দিয়েছেনঃ আমি তা নিম্নে পয়েন্ট আকারে তুলে ধরছি।
  • আমার জীবনে কেনা প্রথম বই (শিহাব)
  • এটি শুধু একটি বই ই নয় নাস্তিকদের জন্য একেকটা বুলেট। (রাজবি শাকিল)
  • আমি সাজিদ হতে চাই।

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ pdf download

 

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ বই আপনি চাইলে আমাদের সাইট থেকে পড়তে পারবেন। আমি নিচে বই দিয়ে দিচ্ছি।




আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে আপনি বইটির হার্ড কপি কিনুন।

প্যারাডক্সিক্যাস সাজিদ ১ ও প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ বই pdf download করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন।


Download Now



প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ pdf download

আপনি চাইলে বইটা অনলাইনে পড়তে পারেন।


আপনার যদি সামর্থ থাকে বইটা কেনার তাহলে আপনি বইটির হার্ডকপি কিনুন।

আর প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ pdf download করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুন


Download Now




আপনি অন্য বই দেখতে চাইলে আমাদের সাইট দেখতে পারেন।

এছাড়াও আরো অনেক রিভিউ আছে। আপনি যদি আপনার রিভিউ আমাদের সাইটে পোস্ট করতে চান তাহলে এখানে আমাদের ফেসবুক পেইজে যোগাযোগ করুন। আমাদের ফেসবুক পেইজের ঠিকানা http://facebook.com/fineask.xyz

কিওয়ার্ডঃপ্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ১ pdf download

প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২ pdf download

paradoxical Sajid 1 pdf free download

paradoxical Sajid 2 pdf free download



Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *