বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
বইখানার শুরুতে এতবেশি মেজাজ খারাপ লাগিতেছিল যে বার কয়েক মনে হইল আর পড়িব না। মেজাজ খারাপ হইবার মূল কারণ পদ্মঝি।এ জাতীয় দুই একজন মানুষের সাথে পরিচয় থাকার দরূন মেজাজ টা বেশিই খারাপ হইতেছিল।
তবে সেই মেজাজ খারাপ বোধটা সাময়িক।হাজারীর হার না মানার যে মানসিকতা তা আমাকে বারবারই মুগ্ধ করিয়াছে। যদিও কিছুকিছু ক্ষেত্রে পদ্মঝির প্রতি তাহার আচরণে ক্ষুব্ধও হইয়াছি, তবে সময় গড়াইতে হাজারীর প্রসার পাইবার বর্ননায় তা কিছুমাত্রায় ভুলিয়াও গিয়াছি।
কুসুম, অতসী, সুবাসিনী বা বাকি সবার আন্তরিকতার কাছে পদ্মঝির কুটিলতা ম্লান হইয়া গিয়াছে।
বইখানা আবার পড়িব, ভাল বইয়ের শেষটায় এত সুন্দর উপসংহার দিয়া এইভাবে দাগ কাটিতে কম দেখিয়াছি।নাকি আমার কাছেই শুধু এত ভাল লাগিয়াছে। আরণ্যক পড়িবার পর অনেকেই বাকি বইগুলি পড়িতে বলিয়াছিলেন।
তাহাদের কথা মানিয়া যে ভুল কিছু করি নাই, আদর্শ হিন্দু হোটেল পড়িয়া তাহা পরিষ্কার বুঝিতে পারিয়াছি।তা এরপর কি পথের পাঁচালী, না ইছামতি কোনটা পড়িব?