রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস – গোরা pdf download
বইয়ের নামঃ গোরা
ধরণঃ উপন্যাস/ গোরা pdf download
লেখকঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (গোরা pdf download )
বইয়ের সাইজঃ ৩ এমবি
গোরা উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথের এক অনবদ্য সংকলন । এই উপন্যাসের একটা পিডিএফ কপি আমি অনলাইনে খুজে পেয়েছি যা কিনা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। এই উপন্যাসটি ১৯১০ সালে প্রকাশিত হয়। এই উপন্যাস বাংলা ভাষায় অধিক ব্রিক্রিত একটি উপন্যাস।
রবীন্দনাথ ঠাকুর সম্পর্কে কিছু বলার নাই। তাই কিছু বললামও না। তবে আমি এখানে গোরা উপন্যাসের কিছু রিভিউ দিচ্ছি। যাতে করে আপনার উপন্যাস পড়ে বুঝতে সুবিধা হয়। আমি আপনার রিভিউ পরতে অনুরোধ করব । #গোরা pdf download
গোড়া উপন্যাস রিভিউ-১ঃ
আমার মতন অর্বাচীনের এই মহৎ বিশ্বমানের কালজয়ী সাহিত্য নিয়ে লেখার কোন যোগ্যতা নেই, তারপরও ভালোলাগার জায়গা থেকে আমার এই অনুভূতির স্মৃতিকে গুছিয়ে রাখার জন্য এই ধৃষ্টতা করছি ||
শাস্ত্রে বলে, ” আত্নানং বিদ্ধি। আপনাকে জানুন, নইলে মুক্তি কিছুতেই নেই।” #গোরা pdf download
অন্ধকার প্রকান্ড আর প্রদীপের শিখা ছোট। এতবড় অন্ধকারের চেয়ে এতটুকু শিখার উপরেই আমি বেশি আস্থা রাখি।
ঈশ্বরকে সম্পূর্ণ রূপে আত্মসমর্পণ করে, তাকেই নিজের একমাত্র সহায় করো– তাহলে ভুল ত্রুটি ক্ষতির মধ্যে দিয়েও লাভের পথে চলতে পারবে— আর যদি আধা আধি ভাগ করো, কতক ঈশ্বরে, কতক অন্যত্রে তা হলে সমস্ত কঠিন হয়ে উঠবে।
উপন্যাসঃ গোরা
রচয়িতাঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
প্রকাশকালঃ ১৯১০
উল্লেখযোগ্য চরিত্রঃ
গৌরমোহন, পরেশবাবু, আনন্দময়ী, বিনয়চন্দ্র, সুচরিতা, ললিতা।
উপন্যাস শুরু হয় মহাত্না লালন সাইজির “খাঁচার ভেতর অচিন পাখি, কেমনে আসে যায়” গানটি দিয়ে। আর সমগ্র উপন্যাস এই মুক্তির গানের উপরেই যেন গড়ে উঠেছে।
গোরা, উপন্যাসের মূল চরিত্র।
গোরার দেশাত্নবোধ এবং ধর্মচেতনার গোঁড়ামির সাথে মানবতার মিশ্রন, তার মনের ভাবের শত পরিবর্তন, উত্থান পতনের মাঝে নিজেকে চেনার আর আবিষ্কারই ছিল উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
গৌরমোহন এবং তার বন্ধু বিনয়চন্দ্র দুইজন ঠিক চিত্রশিল্পীর মতন নিজেদের মধ্যে বাক্যালাপের ভেতরই যেন ফুটিয়ে তুলেছে এক এক করে পরাধীন ভারতবর্ষের রূপ, ধর্ম, বর্ণ, সমাজের ক্ষয়ে যাওয়া দিকগুলি।
গোরা উপন্যাসটি একই সাথে আধ্যাত্ববাদ, একই সাথে ভারতবর্ষের পরাধীনতা আবার মানবতার গানের জয়ধ্বনির প্রতীক।
পরেশবাবু ছিলেন এমন একটি চরিত্র যাকে কল্পনা করতেই ভক্তি মিশানো স্নিগ্ধতার এক অপূর্ব মূর্তি চোখে ভেসে উঠে।
সব কিছুর উপর মনুষ্যত্ববোধ, যার কাছে আর কিছুই টিকে না এই বিষয়টি পরেশবাবুর স্নিগ্ধ ভক্তিমান চরিত্রে নিপুণভাবে ফুঁটে উঠেছে।
গোরার মা আনন্দময়ী, উপন্যাসের এক নির্মল চরিত্র।
যার ভেতরে বাহিরে কে যেন সমস্তটা বিশুদ্ধতার জল দিয়ে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে জগতের সব বিভাজন কে এক করে দিয়েছে। এক বিশুদ্ধ নির্মল মা এই আনন্দময়ী।
সুচরিতা পরেশবাবুর পালিত কন্যা, এই উপন্যাসের নায়িকা।
যার অপার স্নিগ্ধ কল্যাণময়ী চাপা স্বভাবের ধৈর্যশীলা চরিত্রের অন্তরালে নিজের ভেতরের ভাঙ্গা গড়ার এক তুমুল লড়াই ছবির মতন ভেসে উঠেছে।
ললিতা পরেশবাবুর মেয়ে, এক জেদী, সংকল্পী, তেজস্বী সত্যের কাছে হার না মানা চরিত্র।
উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্রই জোরালো, সূক্ষ্ম এবং বাস্তব। এতটায় বাস্তব যে আজ ১১১ বছর পর এসেও প্রতিটা চরিত্র নতুন এবং সত্য রয়ে গেছে!
১৯১০ সালে রচিত ‘গোরা’ উপন্যাসটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহত্তম এবং অনেকের মতে শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে ব্রাহ্মসমাজ আন্দোলন, হিন্দু সংস্কার আন্দোলন, দেশপ্রেম, নারীমুক্তি, সামাজিক অধিকার আন্দোলন সবকিছুই একইসাথে এই উপন্যাসে ফুঁটে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথের দীর্ঘতম উপন্যাস। দেশ পত্রিকার বিচারে বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাংলা উপন্যাস।
প্রিয় উক্তিসমূহের কিছু অংশঃ-
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
মানুষের সমস্ত প্রকৃতিকে এক মুহূর্তে জাগ্রত করিবার উপায় এই প্রেম।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
সম্প্রদায় এমন জিনিস যে, মানুষ যে মানুষ, এই সকলের চেয়ে সহজ কথাটাই সে একেবারে ভুলিয়ে দেয়”
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
মানুষ বস্তুটি যে কত সত্য আর মানুষ যা নিয়ে দলাদলি করে, ঝগড়া করে মরে তা যে কত মিথ্যে-সে কথা ভগবান গোরাকে যেদিন দিয়েছেন সেইদিনই বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাবা, ব্রাহ্মই বা কে আর হিন্দুই বা কে। মানুষের হৃদয়ের তো কোন জাত নেই—সেইখানেই ভগবান সকলকে মেলান নিজে এসেও মেলেন। তাঁকে ঠেলে দিয়ে মন্তর আর মতের উপর মেলাবার ভার দিলে চলে কি?”
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
আমি যাকে শ্রদ্ধা করি বা ভালোবাসি তাকে আমি ত্যাগ করতে পারি নে।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
“নিন্দা করিতে হইলে বাহির হইতে করা যায়,কিন্তু বিচার করিতে হইলে ভিতরে প্রবেশ করিতে হয়।”
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
ধর্ম মানুষের ব্যক্তিগত সাধনার জিনিস, তাহাকে কোন সমাজের সঙ্গে জড়িত করা উচিত নহে।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
সমস্ত জাত মিথ্যার কাছে মাথা বিকিয়ে দিয়ে রেখেছে।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
সব একসঙ্গে আকড়ে ধরার লোভ ছাড়তেই হবে, নইলে সত্যকেই পাব না।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
পৃথিবীতে যাহারা সাহস করিয়া নিজের জীবনের দ্বারা নব নব সমস্যার মীমাংসা করিতে প্রস্তুত হয় তাহারাই সমাজকে বড় করিয়া তুলে।যাহারা কেবলই বিধি মানিয়া চলে তাহারা সমাজকে বহন করে মাত্র,তাহাকে অগ্রসর করে না।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
মানুষকে সমাজের খাতিরে সংকুচিত হয়ে থাকতে হবে এ কথা ঠিক নয়,সমাজকেই মানুষের খাতিরে নিজেকে কেবলই প্রশস্ত করে তুলতে হবে।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
বিধাতা যেখানে অধিকার বেশি দিয়াছেন সেইখানেই দুঃখ এবং পরীক্ষা অত্যন্ত কঠিন করিয়াছেন”।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
নীচতার আক্রমণ থেকে, অসত্যের দাসত্ব থেকে মুক্তিকেই আমি মুক্তি বলি।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
বিধাতা কোন কোন মানুষকে সহজেই বেশি ভারগ্রস্ত করে গড়ে থাকেন, কেউ বা সহজে দিব্য ভারহীন, এই উভয় জীবনকে একত্রে জুড়ে চালাতে গেলে এদের একটির উপর বাইরে থেকে বোঝা চাপিয়ে দুজনের ওজন সমান করে নিতে হয়।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
অন্ত না থাকলে যে প্রকাশ হয়না, অনন্ত আপনাকে প্রকাশ করার জন্যই অন্তকে প্রকাশ করেছেন। নইলে তার প্রকাশ কোথায়? যার প্রকাশ নেই তার সম্পূর্ণতা নেই।
বাক্যের মধ্যে যেমন ভাব তেমনি আকারের মধ্যে নিরাকার পরিপূর্ণ।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
সমাজের দাবি আমি ততক্ষণ পর্যন্ত স্বীকার করতে পারি, যতক্ষণ সে আমার উচিত দাবিকে রক্ষা করবে। সে যদি আমাকে মানুষ বলে গণ্য না করে, আমাকে কলের পুতুল বানাতে চায়, আমিও তাকে ফুলচন্দন দিয়ে পূজা করব না, লোহার কল বলেই গণ্য করব।
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 1 ▪️](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t4c/1/16/25aa.png)
“ছোট ছেলেকে বুকে তুলে নিলেই বুঝতে
পারা যায় যে, জাত নিয়ে পৃথিবীতে কেউ জন্মায়
না।”
লিখার যোগ্যতা নেই বলে খুব কম কথায় লিখবো ভেবে রিভিউটা শুরু করেছিলাম।
তাও অনেক কথা লিখে ফেললাম, এত সুন্দর উপন্যাসকে নিয়ে লেখার মতন জ্ঞান সত্যিই আমার নেই।
এই শ্রেষ্ঠ সাহিত্যকর্মটি একমাত্র পড়েই অনুভব করা যাবে, আমি যতই লিখিনা কেন প্রকাশ করার ভাষাতে আমি আনাড়িই রয়ে যাবো।
গোরা উপন্যাস রিভিউ-২
বইয়ের নাম: গোরা
লেখক: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ধরন: উপন্যাস#গোরা pdf download
রেটিং: ৭.৪ (১০ এর মধ্যে)
বিশেষত্ব:
এই উপন্যাসকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রেষ্ঠ উপন্যাস বলা হয়।
ঘটনাপ্রবাহ:
উপন্যাসের নাম গোরা হলেও গোরার মা-বাবা হারা বন্ধু বিনয়ও প্রায় সমান গুরুত্বপূর্ণ। গোরার আসল মা মারা যাওয়ার পর সন্তানহীন আনন্দময়ী তাকে লালনপালন করেন। এ কথা গোরা জানে না। সে ব্রাহ্মণ মনে করে । কিন্তু সে আসলে ব্রাহ্ম (খ্রিষ্টান) ঘরের সন্তান।
গোরা এবং তার বন্ধু বিনয় ঠিক করে তারা কখনো বিয়ে করবে না। কিন্তু ঘটনাচক্রে বিনয় সুচরিতা নামের এক ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণকারী মা-বাবা হারা মেয়ের প্রেমে পড়ে। ওদিকে গোরার সৎ ভাই (আসলে না) মহিম তার মেয়ে শশীমুখীর বিয়ে বিনয়ের সাথে দিতে চাইলে গোরা জাত রক্ষার জন্য রাজি হয়ে যায়।
আবার অন্যদিকে সুচরিতাকে লালনপালন করা ব্রাহ্ম পরেশের মেজ মেয়ে ললিতা বিনয়ের প্রেমে পড়ে যায়।
একসময় বিনয়ও ললিতার প্রতি দূর্বলতা অনুভব করে। আর যে সুচরিতাকে সে ভালোবাসতো তাকে দিদি বলে ডাকা আরম্ভ করে।
সুচরিতা আবার গোরার প্রতি আকৃষ্ট হয়। গোরাও তার প্রতি দূর্বলতা অনুভব করে।
ঘটনাচক্রে গোরা জেলে চলে গেলে বিনয় ললিতার সাথে দেখা করার অধিকার লাভ করে। এখানে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পরে তারা ঠিক করে জাত না মেনে তারা বিয়ে করবে।
উপন্যাসের সমাপ্তি ঘটে গোরার সাথে সুচরিতা আর বিনয়ের সাথে ললিতার বিয়ের মাধ্যমে। আর গোরাও তার আসল পরিচয় জানতে পারে। গোরা মূলত একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী, ইংরেজ বিরোধী। কবি এই উপন্যাসে হিন্দুদের জাতপ্রথার বিরুদ্ধে লিখেছেন।
সমালোচনা:
উক্ত উপন্যাসে মূল মহিলা চরিত্র সুচরিতার বয়স মাত্র ১২-১৩ বছর। ( বইয়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে) আর ললিতার বয়স তারও কম। (যেহেতু ললিতা সুচরিতার ছোট বোন) অতএব রবী ঠাকুর এখানে নারীবাদ বিরোধী কথা লেখে ঘোর অন্যায় করেছেন।
এই বইটা তারপরেও কীভাবে সিলেবাসভুক্ত থাকে ভেবে অবাক হয়ে যাই! এই ছোট ছোট মাসুম শিশুদের সাথে গোরা বিনয়ের মতো বুড়ো ভামদের প্রেম দেখানোর জন্য রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কার বাতিল করা দরকার
![রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাস - গোরা pdf download 17 ✊](https://static.xx.fbcdn.net/images/emoji.php/v9/t5f/1/16/270a.png)
১. উপন্যাসটি সাধু ভাষায় লেখা বলে পড়ে স্বাচ্ছন্দবোধ করি নি।
২. “বেশী বকে বলে বক্তিয়ার” কথাটি বখতিয়ার খিলজিকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে বলে মনে হয়।
৩. “তোমাদের মোহাম্মদ তো ভালো মানুষ হয়ে ইসলাম প্রচার করেননি।” কথাটি কটূক্তিমূলক । এখানে প্রশ্ন আসে ‘তবে কী মুহাম্মাদ সা. খারাপ মানুষ হয়ে ইসলাম প্রচার করেছেন?’
১. বইটিকে জাত প্রথাকে চপেটাঘাত করা হয়েছে।
২. রবীন্দ্রনাথের চরিত্রের নাম দেওয়া একদম অসাধারণ। প্রত্যেকটি চরিত্রের নাম দেখেই বোঝা যায় তার ব্যবহার চরিত্র সম্পর্কে।
৩. এই উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্রের মতো ইসলামকে বিকৃত করে বিদ্বেষমূলক কথা লেখা হয়নি।
১. এ্যাডমিশনের জন্য।
২. সাহিত্য সাধনা করতে চাইলে।
৩. মনে প্রেমের সুরসুরি দিতে চাইলে।
অহেতুক পড়ার দরকার নাই।
#গোরা pdf download
গোরা উপন্যাস রিভিউ -৩ঃ
গোরা এমন একটি উপন্যাস একমাত্র একে অবলম্বন করেই বিশ্বসাহিত্যের সেরাদের কাতারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে দাড় করিয়ে দেওয়া যায়।
গোরা উপন্যাসের প্রতিটা চরিত্রই অদ্বিতীয় তার মধ্যে প্রধান দুই চরিত্র,
উপন্যাসের ভাষাতেই শুরু করা যাক,
কলেজ পাস করা যখন আর বাকি ছিলো না তাদের তখন ছাতের উপর বসিয়া মাসে একবার হিন্দুহৈতাষী সভার আহবান করে তারা দুই বন্ধু,
একজন সভাপতি’গৌরমহন’ আত্মীয় স্বজন সবাই তাকে ‘গোরা’ বলে ডাকে। পন্ডিতমশায় রজতগিরি বলিয়া ডাকতেন…………. সুশ্রী বলা যায় না কিন্তু তাহাকে না দেখিয়া থাকার জো নেই সকলের মধ্যে চোখে পড়বেই।
আর একজন সেক্রেটারি তাহার বন্ধু বিনয় (সাধারন বাঙ্গালি শিক্ষিত ভদ্রলোকের মতো নম্র, অথচ উজ্জ্বল; স্বভাবের সৌকুর্য ও বুদ্ধির প্রখরতা মিলিয়া তাহার মুকশ্রীতে একটা বিশিষ্টতা আছে)।
গোরা ভারতবর্ষকে নিজের সবকিছুর থেকে বেশি ভালবাসতে চেয়েছিল, তাই ভারতবর্ষের সমস্ত সংস্কার-কুসংস্কার, আচার, নিয়ম, ধর্ম সবকিছুকে প্রাধান্য দিয়েছে নিজের আবেগের থেকে বেশি। তাই গোরাকে প্রথম প্রথম খুব অন্ধ বিশ্বাস নিয়ে চলা গোঁড়ামিপূর্ণ এক যুবক মনে হলেও খুব ধীরে ধীরে তার চরিত্রের বিশাল দিকটা সামনে আসে।
গোরা ও বিনয়ের মধ্যে প্রার্থক্য বলতে, এককতায় পুরাই ভিন্ন, একজন আবেগকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে আদর্শকে অন্যভাবে গড়ে নিচ্ছে,
আরেকজন পরিবার-বন্ধুত্ব-প্রেমের থেকে নিজের ভাবাদর্শকে মাথা উঁচু করে দাড় করিয়ে রাখছে।
আরো কয়কটি চরিত্র মধ্যে
পরেশবাবু, (তথাকথিত ধর্ম, সমাজ সবকিছুর উপরে যিনি মানুষের মঙ্গলস্বার্থটাকেই বড় করে দেখেছেন)।
এবং তার স্ত্রী বরদাসু্দরী ( পৃথীবিতে কোন জিনিসটা ব্রাক্ষ্র আর কোন জিনিসটা অব্রাক্ষ্র তাহার ভেদ লইয়া তিনি তিনি সর্বদায় অত্যন্ত সতর্ক হইয়া থাকেন )রক্ষনশীল বলা চলে।
তাদের তিন মেয়ে বড় মেয়ে লাবন্য,
মেঝো মেয়ে ললিতা ( বিনয়ের প্রেমিকা তার একটি উক্তি ”আমার ধর্ম আমার, তেমাার ধর্ম তোমার। কিন্ত তুমি আর আমি মানুষ, আমরা একসাথে থাকব আজীবন’—– এর মাধ্যমে তার স্বাধীনচেতা, তেজস্বী ও দুঃসাহসের পরিচয় মিলে।
ছোট মেয়ে লীলা।
এবং রয়েছে সুচরিতা (গোরার প্রমিকা)— পরেশবাবুর পালিত কন্যা, অত্যন্ত শিক্ষিত, রূচিশীল তরুণী। তাকে পরেশবাবু নিজের মতো করেই গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন।……
বাকিটা বললাম না। বই পড়লেই বুঝে যাবেন।
গোরা pdf download
গোরা উপন্যাসটির পিডিএফ অনলাইনে পড়ুন।
আপনি যদি গোরা pdf download করতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
আর যদি আপনার সামর্থ্য থাকে তাহলে বইটির হার্ড কপি ক্রয় করুন।
গোরা pdf download
আরো বই পিডিএফ ডাউনলোড করতে হলে আমাদের সাইট ঘুরে দেখুন
ট্যাগঃ
গোরা উপন্যাস রিভিউ , গোরা উপন্যাস pdf , gora pdf download , গোরা pdf download , গোরা উপন্যাসের বিষয়বস্তু, গোরা উপন্যাস , গোরা উপন্যাসের চরিত্র