কারাগারের রোজনামচা pdf download by শেখ মুজিবুর রহমান


Loading...


নাম:- কারাগারের রোজনামচা pdf download free 

লেখক:- শেখ মুজিবুর রহমান। 

কারাগারের রোজনামচা বইয়ের pdf book Size:-      

পাঠক রিভিউ(১):- 

কারাগারের রোজনামচা-শেখ মুজিবুর রহমান  

অসমাপ্ত আত্নজীবনীর পর এটিই লেখকের দ্বিতীয় প্রকাশিত বই। বঙ্গবন্ধু, যিনি সবসময় লড়েছেন অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে ,মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য যিনি লড়েছেন। যিনি সবসময় যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন ।এমনকি কারাগারে যেতেও তিনি দ্বিধাবোধ করেন নি।

এই বইটি লেখা হয়েছে 1966সাল থেকে 1968 সাল পর্যন্ত সময়ে ।ছয় দফা আন্দোলনের পর তাকে কারাবরণ করতে হয়। এই সময় তিনি বইটি লেখেন ।

কারাগারের রোজনামচা এই বইটিতে ফুটে উঠেছে লেখকের জেল জীবন ,সেসময়ের রাজনৈতিক অবস্থা, দুঃখ-দুর্দশা, নির্যাতন, ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসঘাতকতা।এই বইটি পড়ে বোঝা যায় যে তিনি একজন প্রকৃতি প্রেমিক ও ছিলেন  ।

লেখক প্রতিদিনের বর্ণনা খুব চমৎকার করে দিয়েছেন । সেসময় এর রাজনৈতিক ইতিহাস এবং পাকিস্তানের নির্যাতন সম্পর্কে জানতে বইটি অবশ্যই প্রত্যেকের পড়া উচিত । 

পাঠক রিভিউ (২):- 

বইয়ের নামঃ “কারাগারের রোজনামচা”

বইয়ের লেখকঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 

রিভিউঃ “থালা বাটি কম্বল, জেল খানার সম্বল”

জেলের ভিতরে ছোট ছোট জেল আছে। যারা দীর্ঘদিন জেলে থাকে নাই,তারা এসব সম্পর্কে অবগত নয়। জেল তিন রকমের। যথাঃ  ক)কেন্দ্রীয় কারাগার খ) জেলা জেল গ) সাব জেল। 

রাজবন্দী,হাজতি,কয়েদী সাজা অনুসারে এ নামকরণ। সশ্রম কারাদণ্ড প্রাপ্ত কয়েদীদের বিভিন্ন দফায় কাজ দেওয়া হয়। যেমন- 

রাইটার দফা-সাধারণত পিয়নে যে কাজগুলো করে থাকে। 

চৌকি দফা-রান্নার কাজে সহযোগিতা করা। 

ঝাড়ু দফা,বন্দুক দফা (মেথরের কাজ করা),পাগল দফা,শয়তানের কল (কম্বল ফ্যাক্টরিতে যারা কাজ করে),দর্জি খাতা,মুচি খাতা,আইন দফা(ঘানিতে ঘুরানো হয়),ডালচাকি দফা। 

৩ মাসে কয়েদীরা ১৮ থেকে ২৩ দিন পর্যন্ত মার্ক পেয়ে থাকেন। এই মার্ক যাদের ভালো,যারা জেলের নিয়ম-কানুন সঠিকভাবে মেনে চলেন তাদের ৯ থেকে সাড়ে ৯ মাসে ১ বছর গণনা করা হয়। 

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের মহামূল্যবান ও বেশিরভাগ সময় দেশের জন্য কথা বলায় পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে জেলখানায় রাজবন্দী ছিলেন। স্ত্রীর অনুরোধে জেলখানার কাটানো মুহূর্তগুলো তিনি ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেন। 

তার মধ্য থেকেই আমরা জেলের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারি। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ হাসিনার সাহসিকতায় ডায়েরি  উদ্ধার ও বঙ্গবন্ধুর খুনের পর ২য় বার ডায়েরী উদ্ধার করে বিভিন্ন বাঁধা পেরিয়ে শেখ রেহানা এর নাম দেন “কারাগারের রোজনামচা”। 

১৯৬৬ সালে বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ,পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও শাসনতান্ত্রিক সায়ত্ত্বশাসনের জন্য ৬ দফা পেশ করা হলে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার,গুলিবর্ষণ,জেলখানায় যে পাশবিক নির্যাতন করা হয় তা ২রা জুন ১৯৬৬ থেকে তুলে  ধরা হয়েছে। 

পূর্বে ১৪৪ ধারা জারি না করে ৭ জুন  আওয়ামীলীগের শান্তিপূর্ণ হরতালে গুলিবর্ষণ করা হয় কিন্তু আহত ছাড়া শুধু মৃত্যু দেখানো হয় মাত্র ১১ জন! 

গ্রেপ্তার করা হয় অসংখ্য মানুষকে। বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে ইত্তেফাক পত্রিকার সম্পাদক তফাজ্জল হোসেন মানিক এবং মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়,বাজেয়াপ্ত করা হয় ইত্তেফাকসহ আরো কিছু পত্রিকা। এ সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলেন-“মানুষকে জেলে নিতে পারে কিন্তু নীতিকে জেলে নিতে পারে না”। ৬ দফা আন্দোলন থেমে থাকে নি। 

বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের অখণ্ডতায় বিশ্বাস করতেন। তিনি বলেন-চেয়েছি পূর্ব পাকিস্তানের ন্যায্য দাবি,কলোনি বা বাজার হিসেবে বাস করতে চাই না। নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার চাই”। 

আইয়ুব খান সুকৌশলে বঙ্গবন্ধুকে মারতে চেয়েছিলেন। জেলখানায় তাকে একাকী রাখা হয়। পাশেই পাগলদের  ৪০ সেল যেখানে ৭০ পাগল থাকত। তাদের পাগলামিতে তিনি পাগল হয়ে যেতেন কিন্তু তিনি  খুব সচেতন থেকেছেন এ ব্যাপারে। 

রাজনীতি সম্পর্কিত কোনো বই দেওয়া হতো না,কর্মীদের সাথে দেখা করার সুযোগ ছিল না,পরিবারের সাথে কথা বলার সময়ও সাথে পাহারাদার থাকত,খাবার দিত অত্যন্ত নিম্নমানের ইত্যাদি নীরব নির্যাতন চলত। 

কারাগারের ভিতর হাসপাতালে ঘুষের প্রচলন,অসুস্থ নিরীহ কয়েদী সঠিক চিকিৎসা না পাওয়া,পুলিশের সামান্য লোভে ঘুষ দিয়ে ছোট ছেলে চোর থেকে কিভাবে পকেটমার হয়ে জীবন ধ্বংস করেছে,ছাত্রদের উপর অত্যাচার,১৯৪৯ থেকে কাটানো জেলের মূহুর্ত, সবই স্থান পেয়েছে এই বইটিতে। 

২৫ শে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭-তে ১১ টি মামলা  তার উপর বহাল থাকা সম্পর্কে তিনি বলেন,”সাগরে শয়ন যার,শিশিরে কি ভয় তার। ”

মা-বাবা,ছেলে-মেয়ে,স্ত্রীর প্রতি যে তার ভালোবাসা তাও ফুটে উঠেছে এই বইয়ে। বাবার চিঠিতে ৪৫ বছরের ছেলেকে খোকা বলে সম্বোধন,শেখ রাসেলের বাবার বাড়ী বলতে কারাগারকে বোঝা,শেখ রেহানার  ভালোবাসা সব উঠে এসেছে তার লেখনীতে। 

অন্যায়ের বিরুদ্ধে যিনি ছিলেন সোচ্চার,

তাই তো তার এক আহ্বানে বাঙালি আজ এক স্বাধীন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

তাই আজ বলা যায়- ” যতদিন রবে পদ্মা যমুনা  গৌরি মেঘনা বহমান,  ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান দিকে দিকে আজ রক্তগঙ্গা অশ্রুগঙ্গা বহমান তবু নাহি ভয় হবে হবে জয় জয় মুজিবুর রহমান।” 

কারাগারের রোজনামচা বই পাঠক রিভিউ (৩):-  

বইয়ের নামঃ কারাগারের রোজনামচা

বইয়ের লেখকঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 

রিভিউঃ “কারাগারের রোজনামচা” নামের মধ্যেই বইটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। রাজনৈতিক জীবনে ৬ দফা দাবি তোলার আগে ও পরে বার বার কারাগারে যেতে হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে। স্ত্রী শেখ ফজিলাতুন্নেসার অনুরোধে তিনি জেলখানায় তাঁর কারাবন্দি জীবন নিয়ে লেখা শুরু করেন,সেই লেখাগুলোর মুদ্রিত সংস্করণ হচ্ছে কারাগারের রোজনামচা। 

বঙ্গবন্ধুর কারাজীবনের একটি অধ্যায় প্রকাশিত হয়েছে এই বইটিতে। বন্দিকালীন  বঙ্গবন্ধু জেলখানা সম্পর্কে অনেক কথা লিখেন। জেলে জীবনযাপন এবং কারাগারের আইনকাঠামো সহ কারাগারে প্রচলিত বিভিন্ন অজানা শব্দ ও দফার বর্ণনাও করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু তার লেখায়  জেলের অন্যান্য কয়েদিদের জীবনযাপন  এবং কেন তারা অপরাধ জগতে পা দিয়েছিলো সে সম্পর্কে তাদের সাথে আলাপ ও তাদের সুখ-দু ঃখের কথাও তুলে ধরেন। নিজের সেলের বর্ণনায় বঙ্গবন্ধু বলেন,বেআইনীভাবে তাঁকে দীর্ঘকাল একাকী (Solitary confinement) এ রাখা হয়েছিলো। 

তাঁর সেলের পাশেই ছিল পাগলদের সেল। সেই পাগলদের হাসি-কান্না, আবার-আচরণ অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সাথে তুলে ধরেন তিনি।তাদের উৎকট চিৎকারে রাতের পর রাত নির্ঘুম কাটার কষ্ট ও বঙ্গবন্ধু তাঁর লেখায় ব্যক্ত করেন। 

সেলের চার দেয়ালের অন্ধকারের বাহিরে তিনি এক বাগান করেছিলেন।গাছপালা,পশুপাখি ছিল তাঁর নিঃসঙতার সাথি। একজোড়া হলুদপাখি ও একটি মুরগির কথা চমৎকারভাবে তাঁর কথায় ফুটে উঠেছে।

বইটিতে শুধু কারাগারের চিত্রই নয়  ফুটে উঠেছে সময়সাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি,আওয়ামী লীগ এর অবস্থা, পাকিস্তান সরকারের একনায়কচিত্র মনোভাব ও অত্যাচার নির্যাতনের নানা চিত্র। ফুটে উঠেছে একজন বন্দি বাবার আঁকুতি ও অবুঝ সন্তানের ভালোবাসা।

পাশাপাশি বলা হয়েছে ৬ দফা দাবি পেশ করারপর যখন বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয় তখনকার পত্রপত্রিকার অবস্থা এবং জনগণ কে বিভ্রান্ত করার চিত্র। দেশ ও মানুষের জন্যে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা ও রাজনৈতিক দর্শন।তিনি মানুষের মুক্তির দাবিতে আন্দোলন ও সংগ্রাম  করেছেন যার অন্তর্নিহিত লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি অর্জন। 

কারাগারের রোজনামচা বইটিতে বঙ্গবন্ধু তাঁর ও কারারুদ্ধ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের প্রতি অন্যায় অবিচার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন ব্যাক্তিদের দুর্নিতির কথাও বলা হয়েছে। সহকর্মীদের দুঃখ দুঃর্দশা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর উদ্বেগ এবং ভালোবাসা প্রকাশ পায় তাঁর লেখায়।

লেখার বিভিন্ন অংশে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুর  শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক উৎকন্ঠা প্রকাশ পায়। পাশাপাশি তাঁর প্রবল আত্নশক্তির পরিচয় ও পাওয়া যায়। বাবা-মা,স্ত্রী-সন্তান ব্যতীত বন্দি দেওয়ালের নিঃসঙ্গতা তাঁর মনোবলকে দমাতে পারেনি। সবকিছুর উর্ধে বাংলার মানুষ যে  স্বাধীন হবে এ আত্নবিশ্বাস বার বার তার লেখায় ফুটে উঠেছে।

পাকিস্তান আমলে দফায় দফায় বন্দি দশার দিনলিপির সম্মিলিত সংকলন শেখ মুজিবর রহমান এর দ্বিতীয় গ্রন্থ কারাগারের রোজনামচা। 

ভাষা আন্দোলন থেকে ধাপে ধাপে স্বাধীনতা অর্জনে তাঁর কষ্ট ও  আত্নত্যাগের ধারণা পাওয়ার একটি মাধ্যম এই বই।বইটিতে বাংলাদেশের মানুষ তাদের স্বাধীনতার উৎস খুঁজে পাবে।

কেন তিনি মহান নেতা,কিভাবে  মানুষকে পড়ে ফেলেন অবলীলায়,প্রভাবিত করতে পারেন তাকে তেমন নানা ঘটনার সমাহার কারাগারের রোজনামচা। 

পাঠক রিভিউ (৪):- 

বইয়ের নামঃ “কারাগারের রোজনামচা

বইয়ের লেখকঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান 

রিভিউঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জেলবন্দী জীবনের বাস্তব প্রতিফলন ঘটেছে “ কারাগারের রোজনামচা ” নামক আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থটিতে।গত তিনদিবসে আমি বইটি অনলাইন থেকে পড়ে সম্পন্ন করেছি।

বইটির লেখক কোনো ঔপন্যাসিক ছিলেন নাহ, বরং তিনি ছিলেন একজন সফল রাজনীতিবিদ এবং অন্যতম আদর্শ বাঙালি।বঙ্গবন্ধুর লেখনীটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলশ্রুতিতেই বইয়ে অত্যন্ত সাবলীলভাবে প্রকাশিত করা সম্ভব হয়েছে।

শেখ মুজিবুর রহমান তার লেখনীতে জেলবন্দী জীবনের সুখ,দুঃখ ও বেদনার বাস্তব প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন।বইটিতে অত্যন্ত হাস্যরসাত্মকভাবে পাগল জেলবন্দীদের কর্মকাণ্ডের বর্ণনা রয়েছে।(পৃষ্ঠাঃ২০৪, ৩য় অনুচ্ছেদ)   

বিনা অপরাধেই তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারে তার জীবনের অতি মূল্যবান ২১ মাস (১৯৬৬-১৯৬৮) কারাবরণ করতে হয়েছিল। 

এই সময়ে তিনি তার স্ত্রী প্রদত্ত ডায়েরিতে প্রতিদিনের ঘটনা লিখে রাখতেন।যা পরবর্তীতে, তার আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ হিসেবে প্রকাশিত হয়।ডায়রিটিতে তিনি লিখেছিলেন যে, “ জেলের ভিতরেও জেল রয়েছে ”।

জেলের অভ্যন্তরে কিছু অদ্ভুত শব্দেরও প্রয়োগ হতো, যেমনঃ ফালতু,ঝাড়ুদফা,ছোঁকরাবাজি,বন্দুকদফা ও অন্যান্য।বঙ্গবন্ধু জেলবন্দীকালীন সময়ে,তার একাকীত্ব জীবন-যাপন ও হার না মানা উদ্যম চেতনা তার লেখনীতে অপূর্বভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।

যৌবনকাল হতেই তিনি জনসাধারণের অধিকার আদায়ের দরুণ বিভিন্ন আন্দোলনে নির্ভীক চিত্তে স্বেচ্ছায় উপস্থিত ছিলেন।(ভাষা আন্দোলনঃ ১৯৪৮-১৯৫১, নির্বাচন -১৯৫৪,ছয়দফা দাবি আন্দোলন -১৯৬৬ ও অন্যান্য) 

শাহাদুজ্জামান রচিত “ ক্রাচের কর্নেল ” বইটিতে মাওলানা ভাসানীর ছয়দফা দাবি বিরোধী কর্মকাণ্ডের দরূণ বঙ্গবন্ধুর মনক্ষুন্ন হওয়া ব্যাপারটি তুলে ধরা হয়েছে।তার প্রথম প্রকাশিত আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ “ অসমাপ্ত আত্মজীবনী ”-তে তিনি ফজলুল হকের সিদ্ধান্তে নিরাশ হওয়ার বর্ণনা করেছেন।

তিনি “ছয়দফা দাবি আন্দোলন ” কে বাঙালির “মুক্তির সনদ” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সর্বদা সোহরাওয়ার্দী ও নেতাজী প্রমুখদের আদর্শ হিসেবে গণ্য করতেন।

নিরীহ বাঙালিদের হিংস্র  পাকিস্তানি শাসকদের করুণ অত্যাচার ও নির্যাতন হতে রক্ষার্থে বহু যৌক্তিক প্রতিবাদ করেছেন।ফলে,তাকে প্রায় ৩০০০ দিন নিদারুণ অত্যাচারের সহিত কারাবন্দী থাকতে হয়েছিল। কিন্তু তবুও তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য তথা ন্যায় ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠার পক্ষে অটল এবং নির্ভীক।

তিনি আজীবন দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করে গেছেন এবং দেশপ্রেম ও মানবতার ব্রতে দীক্ষিত হয়েছেন।একজন নিরহংকার,নির্ভীক, সৎ,অবিচল, সত্যবাদী ও স্পষ্টভাষী সর্বকালের সেরা নেতা হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জন্য অত্যন্ত গর্বের ও শ্রেষ্ঠ একজন আদর্শ।

কারাগারের রোজনামচা pdf download by শেখ মুজিবুর রহমান

তাই আর দেরী না করে কারাগারের রোজনামচা pdf download বইটি ডাউনলোড করতে নিচের ডাউনলোড বাটন এ ক্লিক করুন 

bangla pdf download

Download

কারাগারের রোজনামচা pdf বইটির হার্ড কফি ক্রয় করুন।    

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *