mindset bangla pdf download / মাইন্ডসেট pdf download
নাম:- মাইন্ডসেট (চেঞ্জিং দ্য ওয়ে ইউ থিংক টু ফুলফিল ইয়োর পটেনশিয়াল) pdf download
অনুবাদ:- ফারজানা রহমান শিমু।
পৃষ্ঠা:- ২৬৮
💡 ধরণ:- motivational books pdf download / self book pdf download
মাইন্ডসেট pdf সাইজ:-33MB
ভূমিকা:-
একদিন আমার ছাত্রছাত্রীরা আমাকে বসালাে আর এই মাইন্ডসেট (চেঞ্জিং দ্য ওয়ে ইউ থিংক টু ফুলফিল ইয়োর পটেনশিয়াল) বই লেখার অনুরােধ জানাল। তারা চাইল অন্য লােকেরা আমাদের কার্যক্রম ব্যবহার করে জীবনকে সুন্দর করে তুলুক। এরকম কিছু আমিও করতে চাইছিলাম, তবে এরপর ব্যাপারটি আমার জন্য প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়াল।
আমার কাজ হল সাইকোলজির সেই অংশ নিয়ে যা মানুষের বিশ্বাসের শক্তিকে প্রকাশ করে। এই বিশ্বাসগুলাে সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে আমরা হয়ত ধারণ করি, তবে আমাদের চাওয়া ও প্রাপ্তির সফলতায় এগুলাের জোরালাে প্রভাব রয়েছে। কেবল তা-ই নয়, মানুষের পরিবর্তিত ন্যূনতম বিশ্বাসেরও শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে।
এই মাইন্ডসেট (চেঞ্জিং দ্য ওয়ে ইউ থিংক টু ফুলফিল ইয়োর পটেনশিয়াল) বইয়ে আপনি জানতে পারবেন, একটি সহজ বিশ্বাস আপনার জীবনের বৃহত্তর অংশ কিভাবে পরিচালনা করে।
মূলত:
এটি আপনার জীবনের প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যক্তিত্ব অনুসারে আপনার ভাবনার বেশিরভাগ অংশ এই চিন্তাধারা থেকে উৎপন্ন হয়। আপনার সুপ্তশক্তি বিকাশের পথে সে বাধা, তার বেশিরভাগ এখান থেকে জন্ম নেয়।
এই চিন্তাধারায় ব্যাপারে কোন বইয়ে বিশ্লেষণ করা হয়নি এবং মানুষের জীবনে এর ব্যবহার সম্পর্কে জানা যায়নি। আপনি বিজ্ঞান ও কলা, খেলাধূলা ও ব্যবসার ব্যাপকতা বুঝতে পারবেন। আপনার সহপাঠি, বস, বন্ধু, বাচ্চাদের আপনি বুঝতে পারবেন। আপনার নিজের ও সন্তানদের সুপ্তশক্তিকে কিভাবে বিকশিত করতে হয়, তা দেখবেন।
আমার নিজস্ব দর্শনকে আপনাদের সাথে শেয়ার করতে পেরে আমি আনন্দিত। প্রতিটি অধ্যায়ে আমি হেডলাইন এবং নিজের জীবন ও অভিজ্ঞতা থেকে প্রাপ্ত গল্পগুলাে লিখেছি, যাতে চিন্তাধারাকে আপনি কাজে লাগাতে পারেন।
(বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাম ও ব্যক্তিগত তথ্যগুলােকে বদলে দেয়া হয়েছে; কিছুক্ষেত্রে অনেক মানুষের কথা একজনের মাধ্যমে বলা হয়েছে যাতে বক্তব্য পরিষ্কার হয়। কিছু ঘটনা স্মৃতি থেকে নেয়া হয়েছে আর আমি সেক্ষেত্রে নিজের সবটুকু দেয়ার চেষ্টা করেছি।
( মাইন্ডসেট বইয়ের প্রতিটি অধ্যায়ের শেষে ও শেষ অধ্যায় জুড়ে আমি দেখিয়েছি চিন্তাধারাকে কিভাবে বুঝতে পারবেন, এর কাজকে কিভাবে বুঝবেন আর প্রয়ােজন পড়লে কিভাবে একে বদলাবেন।
ব্যাকরণের ব্যাপারে সামান্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমি ব্যাকরণ জানি ও ভালবাসি, কিন্তু এই মাইন্ডসেট pdf বইয়ে আমি তার প্রয়ােগ যথাযথভাবে করিনি। আমি এবং ও কিন্তু দিয়ে বাক্য শুরু করেছি। প্রসৰ্গ দিয়ে বাক্য শেষ করেছি। আমি একবচন।
‘সে’ এর স্থলে বহুবচন ‘তারা লিখেছি। আমি লৌকিকতা বর্জন ও তাড়াহুড়াের জন্য এমন করেছি। আশা করছি পাঠক আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবে।
এই আধুনিক সংস্করণের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার মনে হয়েছে কিছু অধ্যায়ে নতুন কিছু তথ্য দেয়া জরুরী। পঞ্চম অধ্যায়ে (ব্যবসা) আমি প্রাতিষ্ঠানিক চিন্তাধারায় নতুন কিছু পাঠ যােগ করেছি। হ্যা, পুরাে প্রতিষ্ঠানের একটি সামগ্রিক চিন্তাধারা থাকা উচিত।
সপ্তম অধ্যায়ে (বাবা-মা, শিক্ষক ও কোচ) ভুল চিন্তার প্রসার নামে একটি নতুন অংশ যােগ করেছি যখন আমি জানলাম যে চিন্তার প্রসারের জন্য মানুষ এমন কিছু সৃজনশীল প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ ও প্রয়ােগ করে সেগুলাে সঠিক নয়।
অষ্টম অধ্যায়ে (পরিবর্তিত চিন্তাধারা)
বর্ধমান চিন্তাধারার পথে যাত্রা নামে একটি অংশ যুক্ত করেছি কারণ অনেকে সেই যাত্রার জন্য নতুন কিছু তথ্য চেয়েছে। আশা করি এই নতুনত্ব আপনাদের সহায়তা করবে।
আমি তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই যারা আমার গবেষণা ও এই বই লেখার কাজকে সম্ভব করে তুলেছেন। আমার ছাত্র-ছাত্রীরা আমার গবেষণাকে উপভােগ্য করে তুলেছে। আশা করি তাদের কাছ থেকে আমি যতটুকু শিখেছি, তারাও আমার কাছ থেকে ততটুকু শিখেছে।
আমি সেইসব প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানাই, যেগুলাে আমাদের গবেষণাকে সমর্থন করেছে : উইলিয়াম টি, গ্র্যান্ড ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশন, ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ এন্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট, স্পেনসার ফাউন্ডেশন এবং রাইমস্ ফাউন্ডেশন।
রেনডম হাউজের লােকজন আমার জন্য যথেষ্ট প্রেরণাদায়ক ছিলেন : ওয়েবষ্টার ইয়নস, ড্যানিয়েল যেনাকার, টম পেরি এবং সবচেয়ে বেশি হলেন কেরােলিন সাটন ও জেনিফার হারশে, আমার প্রকাশক। আমার বইয়ের ব্যাপারে আপনাদের উত্তেজনা ও পরামর্শ বিরাট ব্যাপার ছিল।
আমার এজেন্ট গাইলস এন্ডারসন ও হেইডি গ্রান্টকে ধন্যবাদ জানাই সবসময় আমার কাছাকাছি থাকার জন্য।
যারা আমাকে সাহায্য, সহযােগিতা করেছেন, তাদের সকলকে ধন্যবাদ জানাই, তবে পলি সুলমান, রিচার্ড ডিউইক ও মারিয়ানা প্যাসকিনকে তাদের মূল্যবান ও অন্তদৃষ্টিসম্পন্ন মতামতের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানাই। পরিশেষে আমার স্বামী ডেভিডকে ধন্যবাদ জানাই যার ভালবাসা ও প্রবল উৎসাহ আমার জীবনে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। এই কাজে তার অবদান ছিল অসামান্য।
আমার কাজ হল বিকাশ সংক্রান্ত এবং এটি আমার নিজের বিকাশে সহায়তা করেছে। আশা করি আপনাদের ক্ষেত্রেও একই কাজ করবে।
mimdset bangla pdf / মাইন্ডসেট বইয়ের প্রথম অধ্যায়:-
চিন্তাধারা :-
যখন আমি একজন তরুণ গবেষক, মাত্র শুরু করেছি, এমন কিছু ঘটেছিল যা আমার জীবনটা বদলে দিয়েছে। ব্যর্থতার সাথে মানুষ কিভাবে যুদ্ধ করছিল, তা দেখে আমি খুব বিষন্ন হয়ে গেলাম আর ছাত্র-ছাত্রীদেরকে কঠিন সমস্যায় হাবুডুবু খেতে দেখে এ বিষয়ে পড়াশুনা করার সিদ্ধান্ত নিলাম।
তাই আমি ছাত্রছাত্রীদেরকে একটি রুমে নিলাম, তাদেরকে স্বত:স্ফুর্ত করে তুললাম আর কিছু ধাঁধার সমাধান করতে দিলাম। প্রথম ধাধাগুলাে সহজ ছিল, তবে পরেরগুলাে সামান্য কঠিন। ছাত্রছাত্রীরা যখন বিরক্ত হচ্ছিল, ঘামছিল ও পরিশ্রম করছিল, আমি তাদের কলাকৌশল খেয়াল করলাম এবং তাদের ভাবনা ও অনুভূতিকে বুঝার চেষ্টা করলাম।
আমি তাদের মধ্যে বিভিন্ন রকম পার্থক্য আশা করেছিলাম, তবে আমি এমন কিছু দেখলাম যেটা কখনও আশা করিনি।
কঠিন ধাঁধার সাথে লড়তে লড়তে এক ছাত্র চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল, হাত কচলাল, ঠোট দিয়ে চুকচুক শব্দ করল ও চিৎকার করে বলল, “আমি চ্যালেঞ্জ ভালবাসি!” অন্যজন ঘামতে ঘামতে খুশির সুরে জোরগলায় বলল, “জান, আমি ভেবেছিলাম এটি বেশ তথ্যবহুল হবে।”
এদের হয়েছে কি? আমি খুব অবাক হলাম । আমি সবসময় ভাবতাম মানুষ ব্যর্থতার সাথে লড়াই করে বা করে না। আমি কাউকে কখনাে ব্যর্থতাকে ভালবাসতে দেখিনি। এই বাচ্চাগুলাে কি তবে অচেনা বা অন্যরকম কেউ?
প্রত্যেকেরই পছন্দের কেউ থাকে, যে জীবনের জটিল মুহূর্তে পথ দেখায়। এই বাচ্চাগুলােই ছিল আমার সেই রােল মডেল। নিশ্চয়ই এরা এমন কিছু জানত যেটা আমি জানতাম না আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম সেই বিষয়টি শিখব যে কোন চিন্তাধারা ব্যর্থতাকে আশীর্বাদে পরিণত করে।
তারা কি জানত?
তারা সেই গুণ অর্থাৎ প্রতিভাসম্পন্ন দক্ষতা সম্পর্কে জানত যেটার চর্চা করা যায়। আর সেটাই তারা করছিল- আরাে স্মার্ট হওয়ার চেষ্টা করছিল। ব্যর্থতার জন্য নিরুৎসাহিত হচ্ছিল না, কেবল তা নয়, তারা ব্যর্থতার কথা ভাবছিল না পর্যন্ত। তারা ভাবছিল তারা শিখছে।
অন্যদিকে আমি ভাবছিলাম সে মানুষের গুণগুলাে পাথরে খােদাইকৃত। আপনি স্মার্ট বা স্মার্ট নন এবং ব্যর্থতা মানে আপনি স্মার্ট নন। বিষয়টি এমনই সরল ।
আপনি যদি সফল হয়ে যান আর ব্যর্থতাকে (যেকোন মূল্যে) এড়িয়ে যেতে পারেন, তবেই আপনাকে স্মার্ট বলা যেতে পারে। লড়াই, ভুল, ধৈৰ্য্য এগুলাে যেন এই ছবির কোন অংশ নয়।
মানুষের গুণগুলাে চর্চা করা যায় কি না, বা পাথরে খােদাই করা যায় কিনা, সেসব পুরনাে বিষয়। এই বিশ্বাসগুলাে আপনার জন্য কি অর্থ বহন করে, সেটাই নতুন : কোন পরিস্থিতিতে আপনি ভাববেন যে আপনার বুদ্ধিমত্তা বা ব্যক্তিত্ব স্থির, অবিচল কোন পদার্থ নয়, বরং এমন কিছু যার উন্নয়ন আপনি ঘটাতে পারেন?
আসুন প্রথমে আমরা মানুষের বৈশিষ্ট্য নিয়ে তর্ক করি, তারপর সেই প্রশ্নে ফিরে যাই যে বিশ্বাসগুলাে আপনার জন্য কি অর্থ বহন করে ।
মানুষ কেন বিভিন্নরকম হয়:-
আদিকাল থেকেই মানুষ পরস্পরের থেকে ভিন্নভাবে ভেবেছে, কাজ করেছে ও ফল পেয়েছে। নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে কেউ না কেউ জানতে চাইবে, মানুষ কেন বিভিন্নরকম হয়, কেউ বেশি স্মার্ট বা বেশি নৈতিক হয়, যেখানে এমন কিছু আছে, যা তাকে স্থায়ীভাবে ভিন্ন করে দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা দুই পক্ষেই মত দিয়েছেন।
কেউ বলেছেন জোরালাে শারীরিক ভিত্তিতে এই তফাৎ সৃষ্টি হয়েছে। যেগুলাে প্রত্যাখ্যান বা পরিবর্তন করার মত নয়। এই পার্থক্যগুলাে করােটির স্ফীতি (ফ্রেনােলজি), খুলির আকার ও আয়তন (ক্রেনিওলজি) এবং জিনের জন্য হয়।
অন্যরা মানুষের অতীত, অভিজ্ঞতা, ট্রেনিং বা শেখার প্রক্রিয়ার কারণে এই জোরালাে পার্থক্য হয় বলে মত দিয়েছেন। একথা জেনে আপনারা অবাক হবেন যে আই কিউ টেস্টের আবিষ্কারক আলফ্রেড বিনেট এ বিষয়ে স্বীকারােক্তি দিয়েছেন। আই কিউ টেষ্ট মানে একটি বাচ্চার অপরিবর্তনীয় বুদ্ধিমত্তা নয় কি?
মূলতঃ না । বিংশ শতকের শুরুতে ফ্রেঞ্চের নাগরিক বিনেট- যিনি প্যারিসে কাজ করতেন, এই টেস্টের ডিজাইন করেছিলেন প্যারিস পাবলিক স্কুলের সেইসব বাচ্চাদের জন্য যারা স্কুলে ভাল করতে পারছিল না, তাদেরকে যেন নতুন শিক্ষা পদ্ধতির মাধ্যমে পড়াশুনায় ফেরানাে যায়।
বাচ্চাদের বুদ্ধিমত্তায় ব্যক্তি স্বাতন্ত্রকে অস্বীকার না করে তিনি বলেছিলেন শিক্ষা ও চর্চার মাধ্যমে বুদ্ধিমত্তায় কিছু মৌলিক পার্থক্য আনা যায়। তার মডার্ণ আইডিয়াস এবাউট চিলড্রেন” বইয়ের কিছু পংক্তি এখানে দেয়া হল যেগুলােতে তিনি যেসব বাচ্চা পড়াশুনায় সমস্যাক্রান্ত হয়, তাদের সাথে কাজ করার বিষয়গুলাে সারসংক্ষেপ করেছেন। ।
কিছু আধুনিক দার্শনিক… জোর দিয়ে বলেন যে ব্যক্তির বুদ্ধিমত্তা হল স্থির একটি পরিমাণ, সেটাকে বৃদ্ধি করা যায় না। এই নিষ্ঠুর নৈরাশ্যের বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়া জানাই….চর্চা, ট্রেনিং ও সর্বোপরি পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে আমরা মনোেযােগ, স্মৃতি, বিচারব্যবস্থা এবং আক্ষরিক অর্থে ত্যাগের চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে পারি ।
কে সঠিক? বর্তমানে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ বলেন যে এটা বা ওটা কোনটাই ঠিক নয়। এটি বৈশিষ্ট্য বা লালন নয়, জিন বা পরিবেশ নয়। নানারকম মতবাদের ভিত্তিতে এই দুইয়ের মধ্যে নিরন্তর দেয়া-নেয়ার সম্পর্ক চলেই যাচ্ছে।
মূলত: প্রখ্যাত নিউরােসাইনটিষ্ট গিলবার্ট গটলিব বলেছেন- আমাদের উন্নয়নে কেবল জিন ও পরিবেশ যে সহায়তা করে, তা নয়- জিন সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পরিবেশ থেকেও কিছু জিনিষ নেয়।
একই সাথে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে আজীবন মনে রাখা ও ব্রেনের উন্নয়নের জন্য তারা যা ভেবেছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতা মানুষের আছে। অবশ্যই প্রতিটি ব্যক্তির একটি অসাধারণ বংশানুক্রমিক বুদ্ধিমত্তা আছে।
মানুষ বিভিন্ন মেজাজ ও দক্ষতা নিয়ে শুরু করতে পারে, তবে একথা স্পষ্ট যে অভিজ্ঞতা, ট্রেনিং ও ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা তাকে বাকী পথ টেনে নিয়ে যাবে, বুদ্ধিমত্তার বর্তমান গুরু রবার্ট স্টার্ণবার্গ লিখেছেন যে মানুষ “নির্দিষ্ট কিছু প্রাথমিক ক্ষমতার কারণে নয়, অর্থপূর্ণ কার্যক্রমের কারণে” শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে, কিংবা তার পূর্বসুরী বিনেট বলেছেন শেষ পর্যন্ত তারাই সবসময় সবচেয়ে স্মার্ট থাকে না যারা শুরুতে সবচেয়ে স্মার্ট ছিল।
এগুলােকে আপনার কেমন মনে হয়? দুটি চিন্তাধারা বৈজ্ঞানিক বিষয় নিয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিমত, সেটি এক জিনিস। এই মতামতকে আপনি কিভাবে প্রযােগ করলেন, সেটি বুঝতে পারা অন্য জিনিস।
আমার ৩০ বছরের গবেষণা অনুযায়ী আপনি নিজের জন্য যে দর্শন প্রয়ােগ করলেন, সেটি আপনার জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলবে। এটি নির্ধারণ করবে যে আপনি যেমনটি হতে চান তেমন হবেন কিনা, যে কাজ করতে চান, তা পারবেন কিনা। এটি কিভাবে হয়? একটি সরল বিশ্বাস কি করে আপনার মানসিকতা ও জীবনকে পাল্টে দিতে পারে?
নিজের গুণগুলাে পাথরে খােদাইকৃত, অর্থাৎ স্থির চিন্তাধারাকে বিশ্বাস করলে বারবার নিজেকে প্রমাণ করায় একটি তাড়না সৃষ্টি হয়। আপনার বুদ্ধিমত্তা, ব্যক্তিত্ব ও নৈতিক চরিত্র যদি সুনিশ্চিত হয়, ভালােইত, আপনাকে প্রমাণ করতে To be continued….. ( মাইন্ডসেট pdf download )